জনগণই ছিল বঙ্গবন্ধুর ‘দুর্বলতা’
আলোকিত ব্রাহ্মণবাড়িয়া
প্রকাশিত: ১০ জানুয়ারি ২০১৯

বঙ্গবন্ধুর এক ঘোষণার পর লাখ লাখ মানুষ যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন, আত্মত্যাগ করেছিলেন, প্রিয়জনকে হারিয়েছিলেন, নিঃস্ব হয়েছিলেন, এত ত্যাগের পর একটি স্বাধীন দেশ পেয়েছিল বাঙালি জাতি। সেই জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে স্বাধীন দেশে দেখার জন্য হাজার হাজার মানুষ ছুটে এসেছিল ঢাকার তেজগাঁও বিমানবন্দরে। পাকিস্তানের কারাগারে ২৯০ দিন থাকার পর ১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারি বেলা ১টা ৪১ মিনিটে মহানয়ক ‘ব্রিটিশ কমেটে’ করে অবতরণ করেন। এরপর তিনি প্রায় আড়াই ঘণ্টা সময় নিয়ে রেসকোর্সে (সোহরাওয়ার্দী উদ্যান) পৌঁছান। সেখানে একটি ঐতিহাসিক ভাষণ দেন।
ওই ভাষণে ‘আমার বাংলাদেশ আজ স্বাধীন হয়েছে, আমার জীবনের সাধ আজ পূর্ণ হয়েছে’, বঙ্গবন্ধু এ কথা বলছিলেন আর কাঁদছিলেন। একজন নেতা দেশের মানুষকে কতটা আপন করে নিতে পারেন, সেটা তখনই তিনি দেখিয়ে দিয়েছেন। ভাষণে তিনি বলেন, ‘ভাই হিসেবে নেতা হিসেবে নয়, প্রেসিডেন্ট হিসেবে নয়, প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নয়, আমি তোমাদের ভাই, তোমরা আমার ভাই। এই স্বাধীনতা আমার ব্যর্থ হয়ে যাবে যদি আমার বাংলার মানুষ পেট ভরে ভাত না খায়। এই স্বাধীনতা আমার পূর্ণ হবে না যদি বাংলার মা-বোনরা কাপড় না পায়। এই স্বাধীনতা আমার পূর্ণ হবে না যদি এ দেশের যুবক শ্রেণি যারা আছে তারা যদি চাকরি না পায়, কাজ না পায়।’
বঙ্গবন্ধু কতটা শান্তিপ্রিয় ও আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল নেতা ছিলেন তা ওইদিনের ভাষণে তিনি বুঝিয়ে দিয়েছিলেন। উপস্থিত সকলের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘তোমরা বাংলায় যারা কথা বলো না, তারা এখন থেকে বাংলার মানুষ হও। ভাইয়েরা, তাদের গায়ে হাত দিও না, তারাও আমাদের ভাই। বিশ্ববাসীকে আমরা দেখাতে চাই, বাঙালীরা কেবল স্বাধীনতার জন্যই আত্মত্যাগ করতে পারে, তাই না, তারা শান্তিকেও বাস করতে পারে।’
বঙ্গবন্ধু পাকিস্তান কারাগার থেকে ছাড়া পান ১৯৭২ সালের ৮ জানুয়ারি। ওই দিন ভোর রাতে তাকে বিমানে তুলে দেওয়া হয়। সকাল সাড়ে ৬টায় তিনি লন্ডনের হিথরো বিমানবন্দরে পৌঁছান। ১০টার পর তিনি ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী অ্যাডওয়ার্ড হিথ, তাজউদ্দীন আহমদ ও ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীসহ অনেকের সঙ্গে কথা বলেন। সেখান থেকে তিনি দিল্লি হয়ে দেশে ফেরেন।
স্বাধীন দেশে ফেরার প্রায় একমাস পর বঙ্গবন্ধুর সাক্ষাৎকার নেওয়ার জন্য বিবিসির সাংবাদিক ডেভিড ফ্রস্ট লন্ডন থেকে ঢাকায় আসেন। তিনি ওই সাক্ষাৎকারের একপর্যায়ে বঙ্গবন্ধুকে জিজ্ঞেস করেন, ‘আপনার সবচেয়ে বড় শক্তি কী?’ উত্তর ছিল, ‘আমার জনগণ’। ফ্রস্ট আরেকটি প্রশ্ন করেছিলেন, ‘আপনার দুর্বলতা কী?’ প্রশ্নের উত্তর এভাবে দিয়েছিলেন বঙ্গবন্ধ, ‘আমার জনগণের জন্য ভালোবাসা’।

- স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের ছবি ব্যবহার করে ফেসবুকে প্রতারণা
- প্রতিদিন কয়েকবার গরম পানির ভাপ নিয়েছি
- করোনায় ব্যতিক্রমী উদ্যোগ
- পবিত্র কোরআনের ১০০ নির্দেশনা...
- করোনায় চিকিৎসার ‘ওষুধ পেয়েছে’ যুক্তরাষ্ট্র
- এমপিওভুক্তির সুখবর পেল ১৬৩৩ স্কুল-কলেজ
- ২০ হাজারের বেশি আইসোলেশন শয্যা প্রস্তুত রয়েছে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
- মানুষের পাশে দাঁড়াচ্ছে মানুষ, দৃষ্টান্ত স্থাপন করে চলেছে
- বৈশ্বিক ক্রয়াদেশ পূরণে সক্ষম বাংলাদেশ ॥ শেখ হাসিনা
- লোকসান ঠেকাতে সরাসরি ক্ষেত থেকে সবজি কিনছে সেনাবাহিনী
- করোনা পরীক্ষায় দেশে চালু হলো প্রথম বেসরকারি ল্যাব
- যে দোয়ার আমলে স্মরণশক্তি বৃদ্ধি পাবে ইনশাআল্লাহ!
- আল্লাহ তিন ধরনের লোকের দোয়া ফিরিয়ে দেন না
- করোনা রোগীদের বাড়ি প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ উপহার
- ভেন্টিলেটর-সিসিইউ স্থাপনে জরুরি প্রকল্প
- বঙ্গবন্ধুর মতো নেতা পৃথিবীতে খুব কম দেখা যায়: ট্রাম্প
- ঘরে বাজার না থাকা খেলোয়াড়দের পাশে দাঁড়ালেন তামিম
- নিয়মের কারণে আরও এক ইউপি চেয়ারম্যান ও ৩ সদস্য বরখাস্ত
- মিষ্টিকুমড়ার ট্রাকে ফেনসিডিল পাচারের চেষ্টা
- গবেষণা প্রটোকল জমা না দিয়েই বিষোদগার করছেন জাফরুল্লাহ
- জাতিসংঘের বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচিতে নিয়োগ
- আরো তিন হাসপাতালকে করোনা পরীক্ষার অনুমতি
- করোনা আক্রান্তের শরীরের অক্সিজেনের পরিমাণ ঘরেই পরীক্ষার উপায়
- রোজার মর্যাদা, ফজিলত ও বৈশিষ্ট্যসমূহ
- মধ্যবিত্তরাও খাদ্যসহায়তার আওতায়: শিল্প প্রতিমন্ত্রী
- কর্মস্থল ত্যাগকারীদের তালিকা চায় মন্ত্রণালয়
- প্রতিবন্ধীদের জন্য এসপি’র ইফতারসামগ্রী উপহার
- নাসিরনগরে শিশু নিহতের ঘটনায় গ্রেফতার ২
- শিগগিরই সবার জন্য উন্মুক্ত হচ্ছে মক্কা-মদিনা
- ১৫ মে পর্যন্ত সব ফ্লাইট বাতিলের ঘোষণা দিল বিমান
